বিষাক্ত জেলি মেশানো চিংড়ি ধ্বংস, ৪১ হাজার টাকা জরিমানা

বাজার মনিটরিংয়ের তৃতীয় দিনে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রেয়াজউদ্দিন বাজার ও আগ্রাবাদ চৌমুহনীস্থ কর্ণফুলী মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। এ সময় ৪টি মুদি দোকান, ২টি চিংড়ি মাছের দোকান ও একটি মুরগি ফার্মকে ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে চিংড়ির মাথার ভেতরে বিষাক্ত জেলি ঢুকিয়ে বিক্রির অপরাধে ১৫ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করে তা গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে ধ্বংস করা হয়েছে। পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সাথে না রাখা ও ডিজিটাল স্কেলে ওজনে কম দেয়ার অপরাধে গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফোরকান এলাহী অনুপম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন মোল্লা, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মো. জানে আলম, মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন, বিএসটিআই’র পরিদর্শক সুমন সাহা, মহানগর পুলিশ, আনসার সদস্য ও সংশ্লিষ্ট বাজার সমিতির কর্মকর্তারা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফোরকান এলাহি অনুপম জানান, জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রেয়াজউদ্দিন বাজার ও কর্ণফুলী মার্কেটে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সাথে না রাখা ও ডিজিটাল স্কেলে ওজনে কম দেয়ার অপরাধে রেয়াজউদ্দিন বাজারের মুদি দোকানি মোস্তাক আলমকে ১০ হাজার টাকা, নাছির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা, মুরগি ব্যবসায়ী নুরুল আলমকে ২ হাজার টাকা, কর্ণফুলী মার্কেটের মুদি দোকানী জানে আলমকে ১০ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীর আলমকে ৫ হাজার টাকা, চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী বদিউল আলমকে ২ হাজার টাকা এবং খোরশেদ আলমকে ২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। অন্যদিকে চিংড়ি মাছের মাথার ভেতরে খোলসে বিষাক্ত জেলি ঢুকিয়ে বিক্রি করার অপরাধে বদিউল আলম ও খোরশেদ আলমের দোকান থেকে ১৫ কেজি বড় সাইজের চিংড়ি মাছ জব্দ করে তা গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ওজনে কারচুপির অপরাধে রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে একটি ডিজিটাল স্কেল (ওজন মাপক যন্ত্র) জব্দ করা হয়। এর আগে নগরীর বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। ফোরকান এলাহি জানান, যতদিন পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে না ততদিন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করি বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে সফলতা আসবে। এতে জনগণ উপকৃত হবে। জনগণকে ভোগান্তিতে না ফেলে প্রত্যেক দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ ওজনে কম না দিতে এবং পণ্যের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখতে প্রত্যেক দোকানিকে অনুরোধ জানান তিনি।

0 Comments

There are no comments yet

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =

Back to top