জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকার কোহিনুর কমেন্ড এন্ড মামুন কোম্পানীর নামে উৎপাদিত‘কোহিনুর স্পেশাল গাওয়া-ঘি, কোহিনুর গাওয়া ঘি, কোহিনুর ভেজিটেবল ঘি, কোহিনুর ভেজিটেবল স্পেশাল ঘি, কোহিনুর বাটার ওয়েল’ নামে এসব নিম্ন মানের সামগ্রী দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ্মীপুর জেলার ডেকোরেটর মালিকদের মাঝে বাজারজাত করে আসছে। লক্ষ্মীপুর জেলার ১১৪টি ডেকোরেটর কোম্পানীর বাবুর্চিরাই মূলত এসব নিম্নমানের ঘি’র প্রধান গ্রাহক। নিম্নমানের এসব ঘি বিক্রি করার জন্য কোহিনুর কোম্পানী জেলার ১১৪টি ডেকোরেটর কোম্পানীকে মেজবানীতে ব্যবহৃত মালামালের নাম উল্লেখ করে প্যাড ছাপিয়ে সরবরাহ করেছে। ছাপানো প্যাডে অন্যান্য মালামালের সাথে কোহিনুর ‘ঘি’ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কোহিনুর কোম্পানী ডেকোরেটর মালিকদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিয়ে এসব ঘি তাদের মাঝে বিপনন করে আসছে বলে জানা গেছে। নিম্নমানের ঘি দিয়ে জেলার সর্বত্র মেজবানীর খাদ্যদ্রব্য রান্না করায় সর্বত্র রান্নার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। যার কারণে বিষয়টি এনএসআই’র গোচরীভূত হয়। মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর এনএসআই’র ফিল্ড অফিসার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন লক্ষ্মীপুর শহরের হাসপাতাল সড়কে ভেজাল ঘি’র বিশাল মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে অবহিত করেন। যার প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত হাসপাতাল সড়কের সংবাদ কুঠির নামক একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ঘি জব্দ করেন। এ সময় সেখানে সাংবাদিকগণ ও শত শত মানুষের ভিড় জমে যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকলের সম্মুখে একটি গাওয়া ঘি ও একটি ভেজিটেবল স্পেশাল ঘি’র কোটা খুলে উপস্থিত সাংবাদিকসহ মানুষকে দেখতে বলেন। কিন্তু এসব কোটার ভিতরে ঘি’র কোন ফ্লেবার পাওয়া যায়নি। উপরন্তু কোটার ভিতরে থাকা কথিত ঘি নামের তরল বস্তু থেকে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। এতে উপস্থিত সকলে হতবাক হন। তখন উপস্থিত সাংবাদিক ও জনগণ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট এসব প্রতারকদের বিচার দাবি করেন। পরে আটককৃত ঘি জব্দ করে সেখানেই তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
এর আগেও চট্টগ্রামে কোহিনুর কমেন্ড এন্ড মামুন কোম্পানীর ঘি তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন।
0 Comments