পুঠিয়ায় ভেজাল গুড়ের কারখানা গুড় ও সরঞ্জাম ধ্বংস

শনিবার ভোর ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পুঠিয়া থানার এস.আই আসাদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের দূর্লোভপুর গ্রামের একটি ভেজাল গুড় তৈরীর কারখানায় ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ এ আওতায় ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা কালে গুড় তৈরীর নোংড়া পোকাধরা চিটাগুড়, ময়দা বা আটা, সোডা (হাইড্রোজ), কৃত্রিম রং, ফিটকিরি, চিনি ও চুনসহ নানা রকম রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে তৈরী করা হচ্ছে ‘তথাকথিত গুড়’, যাতে আখের রস বা ভালো গুড়ের কোন অস্তিত্ব নাই। ঘটনাস্থলে জানান যায়, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউপির দুর্লোভপুর গ্রামের মৃত নজিবর রহমানের পুত্র কারখানার মালিক মোঃ আজাদ কে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক আটক করে। পরে জানা যায়, একই চারঘাট উপজেলার লিলি সিনেমা হলের পিছনে বসবাসরত জনৈক রাজু এ ব্যবসার মুল হোতা, যদিও তাকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এ সময়ে ঐ কারখানা হতে ৭৬ পিছ ভেজাল গুড়, নোংড়া পোকাধরা চিটাগুড়, ১ বস্তা ময়দা বা আটা, ২ কেজি সোডা (হাইড্রোজ), এক ছোট পাতিল কৃত্রিম রং, ৫ কেজি ফিটকিরি, ২৪ বস্তা চিনি ও ১০ কেজি চুনসহ গুড় তৈরীর ফরমা জব্দ করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আজাদ অসুস্থ হয়ে পড়লে (হৃদ রোগ) ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরবর্তীতে জব্দকৃত ভেজালগুড় ও অনান্য সরঞ্জাম বিধিসম্মত ভাবে নিষ্পত্তি করা হয় ও ধ্বংস করা হয়।

0 Comments

There are no comments yet

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + two =

Back to top