মোসলেম চেনালেন ভেজাল চিংড়ি
|
মোসলেমের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। নগরীর বিভিন্ন মহল্লায় ফেরি করে মাছ বিক্রি করেন তিনি। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর সবচেয়ে পুরাতন মাছ বাজার সোয়ারীঘাটে পরিচয় হয় তার সঙ্গে।
অভিজ্ঞ মোসলেম ছুঁয়েই বলে দিতে পারেন কোনটি কেমন মাছ, কিংবা ভেজাল আছে কিনা। দু’চার কথায় আলাপ জমে যায়। চিংড়ি প্রসঙ্গ আসতেই বলেন ভেজালে ভরে গেছে পুরো ঢাকা। ভালো চিংড়ি খুবই কম।
কীভাবে চিনব এমন প্রসঙ্গ উঠতেই ডেকে নিয়ে গেলেন মনির হোসেন ব্যাপারির আড়তে। প্রথমেই দাম জিজ্ঞেস করলেন বিক্রেতার কাছে। বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন দাম হাঁকলেন, চারশ’ টাকা কেজি। সঙ্গে খানিকটা রসিকতা করে বললেন, নিলে ভাই। না হলে দূর হ ভাই।
খামাল থেকে একটি চিংড়ি হাতে নিয়ে পেটে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে উল্টা আঁচড় কাটলেন মোসলেম। সঙ্গে সঙ্গে নখের ওপর জেলি আবরণ উঠে এলো। এবার চিংড়িটির ঘেটি ধরে বাঁকা করলেন। সেখানেও জেলির আবরণ। একই পদ্ধতিতে আরও কয়েকটি জেলি মিশ্রিত চিংড়ি দেখালেন তিনি।
মোসলেম’র কাছে প্রশ্ন ছিল, তুলনা করার জন্য ভালো চিংড়ি পরখ করতে চাই। এই বাজারে কি নির্ভেজাল চিংড়ি পাওয়া যাবে? এবার বাজারটির ঠিক মাঝামাঝিতে এক আড়তে নিয়ে গেলেন তিনি। চিংড়ি হাতে নিয়ে আগের কায়দায় চিংড়ির পেটে নখ দিয়ে আঁচড় কাটলেন। এবার কিন্তু কিছুই পাওয়া গেলো না।
নখ সামনে এনে বললেন, দেখেন কিছুই নেই। এটাতে কোন ভেজাল মেশানো হয়নি। বিক্রেতার গলাতেও যেনো একটু বেশিই জোর। বললেন, নির্ভেজাল পেতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন ছিল ভাই, এই চিংড়িগুলো কি খুলনা থেকে আনা হয়েছে?
জবাবে বিক্রেতাতে বললেন, খুলনার লোকজন যদি কোরআন মাথায় নিয়ে বলে ভেজাল দেয় নি, তাহলেও বিশ্বাস করব না। এগুলো আনা হয়েছে কোটালীপাড়া থেকে। এগুলো সাড়ে ৫’শ টাকা কেজি
0 Comments