বিসিক শিল্প নগরীতে সন্ধান মিলল দুই ভেজাল সার কারখানার

বিসিক শিল্প নগরীতে সন্ধান মিলল দুই ভেজাল সার কারখানার

 নীলফামারীর সৈয়দপুরে দুইটি ভেজাল জৈব সার কারখানার সন্ধান মিলেছে। আজ (সোমবার) বিকেলে বিসিক শিল্প নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই ভেজাল কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীতে গ্রীণ জৈব সার ও অপূর্ব জৈব সার নামের দুইটি সার কারখানা দীর্ঘদিন যাবৎ ভেজাল জৈব সার উত্পাদন করে বাজারজাত করে আসছিল। গ্রীণ জৈব সার ও অপূর্ব জৈব কারখানা দুইটির মালিক হচ্ছেন যথাক্রমে মো. হামিদুল ইসলাম ও মো. আনিছুল ইসলাম চৌধুরী। আর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ আজ সোমবার বিকেলে সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীতে অভিযান চালায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় বিসিক শিল্পনগরীর একটি শিল্প প্লটে অবস্থিত গ্রীণ জৈব সার কারখানা থেকে ১৫০ বস্তা এবং অপূর্ব জৈব সার কারখানাটি থেকে ৬০ বস্তা ভেজাল জৈব সার, জৈব সার তৈরির বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। পরে কারখানা দুইটি সীলগালা করে জব্দকৃত মালামাল বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মন্ডল হিমু উপস্থিত ছিলেন। তবে এ অভিযানের বিষয়টি আচ করতে পেরে কারখানা দুইটির মালিক কারখানা দুইটি তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েন।

একটি সূত্র জানায়, সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরীর বন্ধ থাকা শিল্প প্লট ভাড়ায় নিয়ে ওই ভেজাল কারখানার মালিকরা সেখানে গোপনে ভেজাল জৈব সার তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল দেদারছে। আর ওই সব ভেজাল সার কিনে জমিতে প্রয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছিলেন কৃষকরা।

কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছিলেন না কৃষকরা। এতে করে তারা (কৃষক) আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন।সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ জানান, যেকোনো পণ্য দ্রব্য ভেজাল কারবারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

0 Comments

There are no comments yet

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =

Back to top